সদ্য অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ‘সাধারণ সম্পাদক’ পদ নিয়ে জটিলতার সমাধান দিলো আপিল বোর্ড।
আপিল বোর্ড জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিল করে পরাজিত প্রার্থী নিপুণ আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করেছে। এদিকে আপিল বিভাগের এই সিধান্তকে কোনোভাবেই মানছেন না জায়েদ খান।
শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির কার্যালয়ে এক রুদ্ধতার বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান।
এদিকে আপিল বোর্ডকেই অবৈধ বললেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন। তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী আপিল বোর্ড এখন মৃত। তারা কোনো রায় দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন না।
পীরজাদা হারুন বলেন, সকল নির্বাচনের সময় একটা তফসিল ঘোষণা করা হয়, সেটি কখনো পরিবর্তন করা যায় না। এই তফসিলে বলা আছে যে, ২৯ তারিখ ১০টা থেকে ১টার মধ্যে আপিল করা যাবে। এরপর একইদিন বিকাল ৫টার মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করতে হবে। আপিল বোর্ডে আগের ফলাফলই বহাল রাখা হয়। এই ঘোষণার পরপরই আপিল বোর্ড বলে ২০২২-২০২৪ মেয়াদে আর কোনো বোর্ড শিল্পী সমিতিতে থাকবে না। তারপর ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করে৷ এরপর নির্বাচন কমিশনেরও দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়। এরপর কোনো রায় দেওয়ার সুযোগ নেই। ৫ তারিখ তো প্রশ্নই উঠে না।
তিনি যোগ করেন, গত ২৮ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী পর দিন আবেদন করার সুযোগ ছিল, নিপুণ সেখানে আবেদন করেছেন এবং আপিল বোর্ড চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন। সেখানে আপিল বোর্ড জায়েদ খানকে বিজয়ী ঘোষণা করে। এখন এই আপিল বোর্ড অবৈধ, এই বোর্ডের হাতে কোনো ক্ষমতা নেই।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনেও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন জায়েদ খান। ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনের এক সপ্তাহ পর চূড়ান্তভাবে তার প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে জয়ী ঘোষণা করা হলো।